Posts

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কেন হত্যা করেছিলেন তৎকালীন ভারতবর্ষের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলাকে?

Image
নবাব সিরাজউদ্দৌলা তখনও নবাব হননি। তিনি যুবরাজ। তারুণ্যের শোভায় তিনি ভরপুর। এমন সময় এক নারীর রূপের বর্ণনা কথা সিরাজের কানে গেল। সিরাজ মনঃস্থির করলেন, এই নারীকে তিনি মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসবেন। বলা যেতে পারে সেই নারীর বর্ণনা শুনে তরুন সিরাজ প্রেমে পড়লেন।    দিল্লীর দরবারের নাচ মহলে বেজে উঠেছিল সেতার, সারেঙ্গীর মিশ্রণ সুর। ঘুঙুরের তালে চঞ্চল হয়েছিল বাদশাহ-র মন। এমন সময় এক চিঠি গিয়ে পৌছালো মুর্শিদাবাদ থেকে। বাদশাহ একটু বিচলিত হয়ে পড়লেন। চিন্তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠল মুখে। কিন্তু কেন? কি এমন লেখা ছিল তাতে?  তা জানব আজকের ভিডিওতে। কিন্তু মূল পর্বে যাওয়ার আগে, আপনি যদি এই চ্যানেলে নতুন হোন আর ইতিহাসের নানা অজানা কাহিনী জানতে চান, তাহলে subscribe করুন এই চ্যানেলটিকে। মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ঘাটলে যেমন উঠে আসে বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী তেমনি মুর্শিদাবাদ জুড়ে আছে নানান বৈচিত্র্যপূর্ণ মৃত্যু কাহিনী। আলিবর্দি খাঁ- থেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রত্যেকের রাজত্বকালেই আছে কিছু ভিন্ন ভিন্ন মৃত্যু। সেই মৃত্যুর আড়ালে আছে লালসা, ভালোবাসা অথবা বিশ্বাসঘাতকতা নয়ত কঠোর শাসন।  নবাব সিরাজউদ্দৌলা তখনও নবাব হননি...

যে জিনিস আমার নয় তার জন্য শোক করে কি হবে?

Image
শরীর আমাদের সঙ্গে এক মুহূর্তও থাকেনা কিন্তু পরমাত্মা থাকেন সর্বক্ষণ। বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি । তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী ॥২২॥ এই জগৎসংসার সর্বদাই পরিবর্তনশীল। জগৎ সংসারকে একবারও দেখতে পাওয়া যায় না। কারণ শরীর, সকল ইন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি ইত্যাদি যে করণ দ্বারা আমারা জগতকে দেখি, জগতকে অনুভব করি সে গুলো ও জগতেরই। সুতরাং জগতই জগতকে দেখে।এই জগৎসংসারে শরীর কেবল একটি ছোট্ট প্রতীক।উৎপত্তির পূর্বে শরীর ছিল না, মৃত্যুর পরেও শরীর থাকবে না এবং বর্তমানেও তা লয়প্রাপ্ত হচ্ছে। এই জগতে মাত্র দুই প্রকার বস্তু আছে, শরীরী এবং শরীর। এই দুটিই অশোচ্য। অর্থাৎ এর জন্য শোক করা উচিত নয়। যে জিনিসটি নিজের নয় আর যে জিনিসটি নিজের তাকে নিজের মনে না করা বিরাট ভুল। শরীর আমাদের সঙ্গে এক মুহূর্তও থাকেনা কিন্তু পরমাত্মা থাকেন সর্বক্ষণ। ও যেমন পরম থাকেন নিরাকারে খেলছেন খেলা নিরেতে আর জীবআত্মা জীবিত থাকে পরমআত্মার জোরেতে এই আদি সত্য পরম যিনি জীব দেহ চালাচ্ছেন তিনি। জীবের মত ভগবানও ক্ষেত্রজ্ঞ, চেতন। তবে আমরা কেবল আমাদের দেহ সম্বন্ধে সচেতন।কিন্তু ভগবান সমস্ত দেহ সম্বন্ধে সচে...

৩ মাস ধরে জ্বলেছিল এই পৃথিবী সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯তলা গ্রন্থাগার!

Image
প্রায় ৭০০ বছর ধরে বিশ্বকে শিক্ষার আলো দেখিয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে কিন্তু ১২শ শতাব্দীতে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। মনে করা হয় সেই আগুনে তিন মাস ধরে জ্বলেছিল। আগুণ আর ধোয়ায় আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে গেছিল এতদিনের সংরক্ষণের জ্ঞানের ভাণ্ডার।  ভারতবর্ষ। শিক্ষা থেকে সংস্কৃতি সর্বত্রই অগাধ বিস্তার। আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগে গুপ্ত সম্রাটগণ এবং কনৌজের সম্রাট হর্ষবর্ধনের পৃষ্ঠপোষকতায় বিকাশ ঘটেছিল বিশ্বের সব থেকে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি নালন্দার। নালন্দা নামটি এসেছে তিনটি শব্দ থেকে।  ন + আলম + দা। যার মানে করলে দাড়ায় অবিরত দান”।  গল্প নয়, সত্যি! লটারির টাকায় তৈরি হয়েছিল আজকের কলকাতা এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জ্ঞানের ভাণ্ডার। শুধুমাত্র ধর্মীয়গ্রন্থই নয় এখানে পড়ানো হত সাহিত্য, চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শনশাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত, চিত্রকলার মত বিষয়। এই প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে পড়ানোর জন্য বানান হয়েছিল একটি গ্রন্থাগার যা অবস্থিত ছিল তিনটি বহুতলবিশিষ্ট ভবন নিয়ে। ভবনগুলির নাম ছিল ‘রত্নসাগর’ (‘রত্নের মহাসাগর’), ‘রত্নোদধি’ (‘রত্নের সমুদ্র’) ও ‘রত্নরঞ্জক’ (‘রত্নখচিত’)। রত্নোদধি ছিল নয়টি ...

ব্যবসা করতে এসে হয়ে ওঠেন ইতিহাস প্রসিদ্ধ কুখ্যাত রাজা

Image
পানিপথ থেকে বাংলায় এসেছিলেন মূলত ব্যাবসা করার উদ্দেশ্য নিয়ে পলাশির যুদ্ধের ঠিক পরে। তিনি ব্যবসায় বিশেষ প্রতিপত্তি করতে না পেরে মুর্শিদাবাদের রাজস্ব আদায়ের দেওয়ান রেজা খাঁর সাথে সখ্যতা এবং ওয়ারেং হেস্টিংস এর বিশেষ প্রিয় পাত্রে পরিণত হন । ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন ওপরের লিঙ্কে মুর্শিদাবাদ। এই নামটার সাথেই জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। যে শহরের প্রত্যেকটা ইটে কাঠে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা আর যুদ্ধের তীব্র চিৎকার। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করলে, মুর্শিদাবাদ উন্নতির পথে চড়তে থাকে তরতর করে। সালটা ১৭৫৭। পলাশির যুদ্ধের ঠিক পর। রাজা দেবী সিংহ পানিপথ থেকে বঙ্গে আসেন ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে। পরে ব্রিটিশদের আনুগত্য পেয়ে ট্যাক্স কালেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং সেই কাজ তিনি কিভাবে সম্পন্ন করেন, তিনি কেন বাংলায় থেকে যান এবং কিভাবে নশিপুর রাজবাড়ি স্থাপন করেন তা জানবো আজকের এই পর্বে।    মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ কুখ্যাত রাজা দেবী সিংহ সুদূর পানিপথ থেকে বাংলায় এসেছিলেন মূলত ব্যাবসা করার উদ্দেশ্য নিয়ে পলাশির যুদ্ধের ঠিক পরে। তিনি ব্যবসায় ব...

৫,০০০ বছরের একটি ৩৯ ফুট তিমির দেহাবশেষ আবিষ্কৃত থাইল্যান্ডে

Image
থাইল্যান্ডে   আবিষ্কৃত   একটি  39  ফুট   তিমির   নিখুঁতভাবে   সংরক্ষিত   দেহাবশেষ  ৩,০০০  থেকে  ৫,০০০  বছরের   মধ্যে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন। ব্যাংককের পশ্চিমে সামুত সাখোনে উপকূল থেকে প্রায় 7.5 মাইল দূরে - গবেষকরা আংশিকভাবে জীবাশ্মযুক্ত হাড়গুলি খুঁজে পেয়েছেন - যা একটি ব্রাইডস তিমির অন্তর্গত। ব্রাইডস তিমি , যা ওজনে 13-28 টন পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ সমুদ্রে বাস করে এবং আজও থাইল্যান্ডের চারপাশে জলে পাওয়া যায়। গত 10,000 বছরে , টেকটোনিক কার্যকলাপ এই অঞ্চলকে সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় প্রায় 13 ফুট উঁচু করেছে। এটি ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে তিমিটি এখন ভূমিতে শেষ হয়েছিল। থাইল্যান্ডের উপকূলে আবিষ্কৃত একটি 40- ফুট লম্বা তিমির নিষ্কলুষভাবে সংরক্ষিত দেহাবশেষ প্রায় 3,000-5,000 বছরের মধ্যে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।   তিমি কঙ্কালের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন থাইল্যান্ডের পরিবেশমন্ত্রী ভারাউত সিল...

মন খারাপের অব্যর্থ ওষুধ ফুচকা বলছে গবেষণা

Image
মন খারাপ থাকলে তা সহজেই ভাল হয়ে যায় ফুচকা খেলে? “ফুচকা” এই নামটা শুনলেই তো জিভে জল চলে আসে। ভারতবর্ষের স্ট্রিটফুড তালিকার মধ্যে বলা যেতে পারে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ফুচকা। সুখে-দুঃখে রাগে-অভিমানে আবেগের সমস্ত পর্যায়ে জড়িয়ে আছে ফুচকা। অঞ্চল ভেদে কোথাও তা পানিপুরি, কোথাও গোলগাপ্পা কোথাও আবার ফুচকা, কোথাও ফুলকি, গুপচুপ,পাতাসে ইত্যাদি বিভিন্ন নাম রয়েছে এই লোভনীয় খাদ্যদ্রব্যের।  ময়দা এবং সুজির মিশ্রণে তৈরি, আলুর পুর সহযোগে টক-ঝাল-মিষ্টি জলে ভরা ফুচকা। আট থেকে আশি সকলেরই খুব প্রিয়। এই  ফুচকা গোল ঠিকই কিন্তু এর সম্বন্ধে গপ্পো বা কিংবদন্তী আছে বিস্তর।  শোনা যায়, পান্ডবরা পাশা খেলায় হেরে তখন অরণ্যে নির্বাসিত। রাজ-রাজত্ব চাকচিক্য ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপনে দিন কাটছে তাদের। হেঁসেলে খাবার বাড়ন্ত। একদিন সেরকম রসদ কিছুই নেই। শাশুড়ি কুন্তী আগের দিনের বেঁচে যাওয়া কিছুটা আলুর তরকারি আর কিছুটা আটা/ময়দার মন্ড দিয়ে বৌমা দ্রৌপদীকে বললেন এমন কিছু খাবার বানাতে যা পঞ্চ-পাণ্ডবকে সমানভাবে তৃপ্ত করবে।  হয়তো কুন্তী চেয়েছিলেন বৌমার রন্ধন শিল্পের পরীক্ষা নিতে, অথবা দেখতে চেয়েছিলেন পাঁচ ভাইয়ের মধ্য...

জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ১৭২ বছর

Image
স্যার ম্যাকক্লিল্যান্ডের ১৮৪৮-৪৯ সময়কালের প্রথম রিপোর্টে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ শব্দগুচ্ছ প্রথমবারের মতো ব্যবহূত হয়। কলকাতা। যার ঐতিহাসিক গুন বেড়েই চলেছে দিন দিন। নানা জানা অজানা ইতিহাসের সাক্ষী আজকের এই কলকাতা। আজ থেকে ১৭১ বছর আগে নৌপরিবহণ ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভারতীয় কয়লা ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কয়লা সংক্রান্ত একটি কমিটি (Coal Committee) গঠন করে। ১৮৩৭ ও ১৮৪৫ সালে কমিটির সচিব স্যার জন ম্যাকক্লিল্যান্ড প্রথমবারের মতো ট্রেনিংপ্রাপ্ত ভূতাত্ত্বিকদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। স্যার ম্যাকক্লিল্যান্ডের ১৮৪৮-৪৯ সময়কালের প্রথম রিপোর্টে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ শব্দগুচ্ছ প্রথমবারের মতো ব্যবহূত হয়। ১৮৫০ সালের ১ এপ্রিল তাঁর অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ‘অফিসিয়েটিং সার্ভেয়র’ হিসেবে ভূতাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। ১৮৫১ সালের ৫ মার্চ তারিখে স্যার টমাস ওল্ডহ্যাম ভূতাত্ত্বিক জরিপকারীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তখন থেকে অনেক নতুন খনিক্ষেত্র আবিষ্কারে ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানে বিরাট সাফল্য-অর্জনে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার’ উজ্জ্বল কৃতিত্ব...