জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ১৭২ বছর
স্যার ম্যাকক্লিল্যান্ডের ১৮৪৮-৪৯ সময়কালের প্রথম রিপোর্টে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ শব্দগুচ্ছ প্রথমবারের মতো ব্যবহূত হয়।
কলকাতা। যার ঐতিহাসিক গুন বেড়েই চলেছে দিন দিন। নানা জানা অজানা ইতিহাসের সাক্ষী আজকের এই কলকাতা। আজ থেকে ১৭১ বছর আগে নৌপরিবহণ ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভারতীয় কয়লা ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কয়লা সংক্রান্ত একটি কমিটি (Coal Committee) গঠন করে। ১৮৩৭ ও ১৮৪৫ সালে কমিটির সচিব স্যার জন ম্যাকক্লিল্যান্ড প্রথমবারের মতো ট্রেনিংপ্রাপ্ত ভূতাত্ত্বিকদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। স্যার ম্যাকক্লিল্যান্ডের ১৮৪৮-৪৯ সময়কালের প্রথম রিপোর্টে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ শব্দগুচ্ছ প্রথমবারের মতো ব্যবহূত হয়।
১৮৫০ সালের ১ এপ্রিল তাঁর অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ‘অফিসিয়েটিং সার্ভেয়র’ হিসেবে ভূতাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। ১৮৫১ সালের ৫ মার্চ তারিখে স্যার টমাস ওল্ডহ্যাম ভূতাত্ত্বিক জরিপকারীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তখন থেকে অনেক নতুন খনিক্ষেত্র আবিষ্কারে ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানে বিরাট সাফল্য-অর্জনে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার’ উজ্জ্বল কৃতিত্বের অবিচ্ছিন্ন ইতিহাস চলতে থাকে।
ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ কলকাতায় ভারতীয় জাদুঘরের ভূতাত্ত্বিক শাখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক ভূতত্ত্বের জাদুঘরটি শুরুতে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের দালানে ছিল। জাদুঘরটি ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপের সঙ্গে একীভূত হয়ে যায় এবং ১৮৫৬ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে জনসাধারণের দর্শনার্থে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন থেকে ভারতীয় জাদুঘরটি দেশ ও বিদেশ উভয় স্থান থেকে প্রাপ্ত শিলা, খনিজদ্রব্য ও জীবাশ্মসমূহের গুরুত্বপূর্ণ নমুনা রাখার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। উল্কাপিন্ডসমূহের সংগ্রহ (১৮৬৭ সালে এগুলির সংখ্যা ছিল ২৪৭) বিশ্বের অন্যতম সেরা ও এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ।

Comments
Post a Comment