মন খারাপের অব্যর্থ ওষুধ ফুচকা বলছে গবেষণা

মন খারাপ থাকলে তা সহজেই ভাল হয়ে যায় ফুচকা খেলে?



“ফুচকা” এই নামটা শুনলেই তো জিভে জল চলে আসে। ভারতবর্ষের স্ট্রিটফুড তালিকার মধ্যে বলা যেতে পারে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ফুচকা। সুখে-দুঃখে রাগে-অভিমানে আবেগের সমস্ত পর্যায়ে জড়িয়ে আছে ফুচকা। অঞ্চল ভেদে কোথাও তা পানিপুরি, কোথাও গোলগাপ্পা কোথাও আবার ফুচকা, কোথাও ফুলকি, গুপচুপ,পাতাসে ইত্যাদি বিভিন্ন নাম রয়েছে এই লোভনীয় খাদ্যদ্রব্যের। 



ময়দা এবং সুজির মিশ্রণে তৈরি, আলুর পুর সহযোগে টক-ঝাল-মিষ্টি জলে ভরা ফুচকা। আট থেকে আশি সকলেরই খুব প্রিয়। এই  ফুচকা গোল ঠিকই কিন্তু এর সম্বন্ধে গপ্পো বা কিংবদন্তী আছে বিস্তর। 


শোনা যায়, পান্ডবরা পাশা খেলায় হেরে তখন অরণ্যে নির্বাসিত। রাজ-রাজত্ব চাকচিক্য ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপনে দিন কাটছে তাদের। হেঁসেলে খাবার বাড়ন্ত। একদিন সেরকম রসদ কিছুই নেই। শাশুড়ি কুন্তী আগের দিনের বেঁচে যাওয়া কিছুটা আলুর তরকারি আর কিছুটা আটা/ময়দার মন্ড দিয়ে বৌমা দ্রৌপদীকে বললেন এমন কিছু খাবার বানাতে যা পঞ্চ-পাণ্ডবকে সমানভাবে তৃপ্ত করবে। 


হয়তো কুন্তী চেয়েছিলেন বৌমার রন্ধন শিল্পের পরীক্ষা নিতে, অথবা দেখতে চেয়েছিলেন পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে কার প্রতি দ্রৌপদী পক্ষপাতিত্ব করেন। সেই মন্ড টাকে সমানভাবে ভাগ করে তার মধ্যে আলুর পুর দিয়ে দ্রৌপদী ফুচকা বা ফুলকা আবিষ্কার করেন। বৌমার রন্ধন পটুত্বে মুগ্ধ হয়ে কুন্তীর আশীর্বাদে সেদিনের সেই খাবারটি অমরত্ব লাভ করে।


ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জার্নাল অব ইন্ডিয়ায় ফুচকার বিশদ বিবরণ জানাতে গিয়ে এর উৎপত্তিস্থল হিসেবে বারাণসীর কথা বলা হয়েছে। সে যাই হোক, বহু পুরনো এই খাবারকে শক্ত কুড়মুড়ে করে খাওয়ার প্রচলন শুরু হয় অনেক পরে। মোগলাই খানার সংস্পর্শে এসে এর গঠনগত আঙ্গিকের পরিবর্তন হয় বলেও মনে করা হয়।


গবেষণা বলছে, ফুচকার স্বাদ খুব দ্রুত মুখের টেস্ট বাডগুলোতে সঞ্চারিত হয় যার কারণে মন খারাপ থাকলে তা সহজেই ভাল হয়ে যায়। 



Comments

Popular posts from this blog

হারানো এক জয় সেবাস্টিয়ান আর কলকাতার গপ্পো ❤️

জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ১৭২ বছর

৩ মাস ধরে জ্বলেছিল এই পৃথিবী সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯তলা গ্রন্থাগার!