Posts

Showing posts from March, 2023

ব্যবসা করতে এসে হয়ে ওঠেন ইতিহাস প্রসিদ্ধ কুখ্যাত রাজা

Image
পানিপথ থেকে বাংলায় এসেছিলেন মূলত ব্যাবসা করার উদ্দেশ্য নিয়ে পলাশির যুদ্ধের ঠিক পরে। তিনি ব্যবসায় বিশেষ প্রতিপত্তি করতে না পেরে মুর্শিদাবাদের রাজস্ব আদায়ের দেওয়ান রেজা খাঁর সাথে সখ্যতা এবং ওয়ারেং হেস্টিংস এর বিশেষ প্রিয় পাত্রে পরিণত হন । ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন ওপরের লিঙ্কে মুর্শিদাবাদ। এই নামটার সাথেই জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। যে শহরের প্রত্যেকটা ইটে কাঠে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা আর যুদ্ধের তীব্র চিৎকার। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করলে, মুর্শিদাবাদ উন্নতির পথে চড়তে থাকে তরতর করে। সালটা ১৭৫৭। পলাশির যুদ্ধের ঠিক পর। রাজা দেবী সিংহ পানিপথ থেকে বঙ্গে আসেন ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে। পরে ব্রিটিশদের আনুগত্য পেয়ে ট্যাক্স কালেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং সেই কাজ তিনি কিভাবে সম্পন্ন করেন, তিনি কেন বাংলায় থেকে যান এবং কিভাবে নশিপুর রাজবাড়ি স্থাপন করেন তা জানবো আজকের এই পর্বে।    মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ কুখ্যাত রাজা দেবী সিংহ সুদূর পানিপথ থেকে বাংলায় এসেছিলেন মূলত ব্যাবসা করার উদ্দেশ্য নিয়ে পলাশির যুদ্ধের ঠিক পরে। তিনি ব্যবসায় ব...

৫,০০০ বছরের একটি ৩৯ ফুট তিমির দেহাবশেষ আবিষ্কৃত থাইল্যান্ডে

Image
থাইল্যান্ডে   আবিষ্কৃত   একটি  39  ফুট   তিমির   নিখুঁতভাবে   সংরক্ষিত   দেহাবশেষ  ৩,০০০  থেকে  ৫,০০০  বছরের   মধ্যে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন। ব্যাংককের পশ্চিমে সামুত সাখোনে উপকূল থেকে প্রায় 7.5 মাইল দূরে - গবেষকরা আংশিকভাবে জীবাশ্মযুক্ত হাড়গুলি খুঁজে পেয়েছেন - যা একটি ব্রাইডস তিমির অন্তর্গত। ব্রাইডস তিমি , যা ওজনে 13-28 টন পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ সমুদ্রে বাস করে এবং আজও থাইল্যান্ডের চারপাশে জলে পাওয়া যায়। গত 10,000 বছরে , টেকটোনিক কার্যকলাপ এই অঞ্চলকে সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় প্রায় 13 ফুট উঁচু করেছে। এটি ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে তিমিটি এখন ভূমিতে শেষ হয়েছিল। থাইল্যান্ডের উপকূলে আবিষ্কৃত একটি 40- ফুট লম্বা তিমির নিষ্কলুষভাবে সংরক্ষিত দেহাবশেষ প্রায় 3,000-5,000 বছরের মধ্যে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।   তিমি কঙ্কালের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন থাইল্যান্ডের পরিবেশমন্ত্রী ভারাউত সিল...

মন খারাপের অব্যর্থ ওষুধ ফুচকা বলছে গবেষণা

Image
মন খারাপ থাকলে তা সহজেই ভাল হয়ে যায় ফুচকা খেলে? “ফুচকা” এই নামটা শুনলেই তো জিভে জল চলে আসে। ভারতবর্ষের স্ট্রিটফুড তালিকার মধ্যে বলা যেতে পারে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ফুচকা। সুখে-দুঃখে রাগে-অভিমানে আবেগের সমস্ত পর্যায়ে জড়িয়ে আছে ফুচকা। অঞ্চল ভেদে কোথাও তা পানিপুরি, কোথাও গোলগাপ্পা কোথাও আবার ফুচকা, কোথাও ফুলকি, গুপচুপ,পাতাসে ইত্যাদি বিভিন্ন নাম রয়েছে এই লোভনীয় খাদ্যদ্রব্যের।  ময়দা এবং সুজির মিশ্রণে তৈরি, আলুর পুর সহযোগে টক-ঝাল-মিষ্টি জলে ভরা ফুচকা। আট থেকে আশি সকলেরই খুব প্রিয়। এই  ফুচকা গোল ঠিকই কিন্তু এর সম্বন্ধে গপ্পো বা কিংবদন্তী আছে বিস্তর।  শোনা যায়, পান্ডবরা পাশা খেলায় হেরে তখন অরণ্যে নির্বাসিত। রাজ-রাজত্ব চাকচিক্য ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপনে দিন কাটছে তাদের। হেঁসেলে খাবার বাড়ন্ত। একদিন সেরকম রসদ কিছুই নেই। শাশুড়ি কুন্তী আগের দিনের বেঁচে যাওয়া কিছুটা আলুর তরকারি আর কিছুটা আটা/ময়দার মন্ড দিয়ে বৌমা দ্রৌপদীকে বললেন এমন কিছু খাবার বানাতে যা পঞ্চ-পাণ্ডবকে সমানভাবে তৃপ্ত করবে।  হয়তো কুন্তী চেয়েছিলেন বৌমার রন্ধন শিল্পের পরীক্ষা নিতে, অথবা দেখতে চেয়েছিলেন পাঁচ ভাইয়ের মধ্য...

জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ১৭২ বছর

Image
স্যার ম্যাকক্লিল্যান্ডের ১৮৪৮-৪৯ সময়কালের প্রথম রিপোর্টে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ শব্দগুচ্ছ প্রথমবারের মতো ব্যবহূত হয়। কলকাতা। যার ঐতিহাসিক গুন বেড়েই চলেছে দিন দিন। নানা জানা অজানা ইতিহাসের সাক্ষী আজকের এই কলকাতা। আজ থেকে ১৭১ বছর আগে নৌপরিবহণ ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভারতীয় কয়লা ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কয়লা সংক্রান্ত একটি কমিটি (Coal Committee) গঠন করে। ১৮৩৭ ও ১৮৪৫ সালে কমিটির সচিব স্যার জন ম্যাকক্লিল্যান্ড প্রথমবারের মতো ট্রেনিংপ্রাপ্ত ভূতাত্ত্বিকদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। স্যার ম্যাকক্লিল্যান্ডের ১৮৪৮-৪৯ সময়কালের প্রথম রিপোর্টে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ শব্দগুচ্ছ প্রথমবারের মতো ব্যবহূত হয়। ১৮৫০ সালের ১ এপ্রিল তাঁর অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ‘অফিসিয়েটিং সার্ভেয়র’ হিসেবে ভূতাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। ১৮৫১ সালের ৫ মার্চ তারিখে স্যার টমাস ওল্ডহ্যাম ভূতাত্ত্বিক জরিপকারীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তখন থেকে অনেক নতুন খনিক্ষেত্র আবিষ্কারে ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানে বিরাট সাফল্য-অর্জনে ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার’ উজ্জ্বল কৃতিত্ব...

"হয়তো আর কোনওদিনই ফেরা হবে না!’’- আজও আছে মানিকতলা খ্রিস্টান গোরস্থানে

Image
  তরু আজও আছে মানিকতলা খ্রিস্টান গোরস্থানে নয়ত শুধু ১২, রমেশ দত্ত স্ট্রিটে তাঁর নিজের ভুবনে।   ‘‘হয়তো কোনও একদিন ফিরব। হয়তো আর কোনওদিনই ফেরা হবে না!’’ তরু দত্ত। প্রথম বাঙালি মহিলা, যিনি ফরাসি এবং ইংরেজি এই দুই ভাষাতেই লেখার জন্য এখনও আলোচিত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত যদি বিদেশি ভাষায় সাহিত্য রচনার জন্য বাঙালি হিসেবে অগ্রণী পুরুষ হন, মেয়েদের মধ্যে ছিলেন তরু দত্ত। মাত্র ২১ বছরের জীবনে ঝড় তুলেছিলেন সাহিত্য জগতে। আজ ৪ঠা মার্চ। আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেন তরুলতা দত্ত ওরফে তরু দত্ত। ১৮ বছর বয়সে, তরুর লেখা  ফরাসি কবি লেকন্টে ডি লিসেল এবং জোসেফিন সোলারির উপর  নিবন্ধগুলি বেঙ্গল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যিক হিসেবে এটি ছিল একক প্রকাশিত লেখা যা তাঁর পরবর্তী  সাহিত্যকর্মের পথ প্রশস্ত করেছিল। তরু  প্রচুর ফরাসি কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে শুরু করেছিলেন,  বেশ কয়েকটি খণ্ড আকারে তা প্রকাশিত হয় এবং  যথেষ্ট প্রশংসা লাভ করে।  ইংল্যান্ড-এ ফরাসি ভাষায় উচ্চশিক্ষা লাভ করেন তরু দত্ত। ১৮৭১ - ১৮৭৩ সাল। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে "হাইয়ার লেকচারস ফর উইমেন" -এ যোগদা...

গল্প নয়, সত্যি! লটারির টাকায় তৈরি হয়েছিল আজকের কলকাতা

Image
লটারি খেলার টাকা থেকেই তৈরি হল যত কিছু বড় রাস্তা, বড় বড় বাড়িঘর। যেমন টাউন হল, স্ট্যান্ড রোড ওয়েলিংটন স্কয়ার, কলেজস্ট্রিট, আমহাস্ট স্ট্রিট।  পলাশীর যুদ্ধ হয়ে গেছে। ইংরেজরা তখন বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ান। ভালো করে দেশটাকে চালাতে গেলে তো একজন গভর্নরের দরকার। ক্লাইভ গেছেন স্বদেশে। গভর্নর করা হলো মিস্টার ভেরলেস্টকে। তারপর জন কার্টিয়ার। দুজনের কেউই খুব একটা যোগ্য লোক নয়। আরো বুদ্ধিমান আরো বিচক্ষণ কাউকে চাই। তেমন কে আছে চলল খোঁজখবর। নজর পড়লো হেস্টিংস এর দিকে।আর তারপর টানা ১৩ বছর চালিয়েছিলেন তার রাজত্ব। একা দায়িত্ব নিয়ে তৈরি করেছিলেন প্রাসাদ নগরী আজকের কলকাতা। ১৭৭২ থেকে ১৭৮৫ এই ১৩ বছর জুড়ে হেস্টিংস বাংলার গভর্নর জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। ফরাসি ভাষায় ছিলেন পন্ডিত। বহুদিন কেটেছে কাশিমবাজারে, তাই দেশি চালচলন আচার-আচরণ ধাতস্থ। পলাশীর পর মীরজাফরের রাজদরবারে তিনি ছিলেন রেসিডেন্ট।তার আমলেই 76 এর মন্বন্তর। তার আমলেই মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসি। আমোদ-আহ্লাদ, বিলাসিতা, বাবুগিরি চরম সেও তার আমলে। টলি নালা পেরিয়ে আলিপুরে হেস্টিংস এর বিলাস বহুল গৃহ। আরো অনেক বাগানবাড়ি ছিল। লর্ড কার্জ...