ভালো মানুষরাই কেন খারাপ অবস্থায় পড়েন? জানাচ্ছেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ

 যিনি ধর্ম মেনে চলেন, কখনোও কারোর খারাপ চান না, তাঁকেই কেন কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তা জানতে চান অর্জুন। এর উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে একটি গল্প বলেন।




একবার অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেন যে ভালো মানুষদের সঙ্গেই সব সময় কেন খারাপ ঘটনা ঘটে? যিনি ধর্ম মেনে চলেন, কখনোও কারোর খারাপ চান না, তাঁকেই কেন কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তা জানতে চান অর্জুন। এর উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে একটি গল্প বলেন।


এক শহরে দু-জন মানুষ থাকতেন। তাঁদের একজন অত্যন্ত সাধু প্রকৃতির কিন্তু অন্যজন একেবারেই দুর্বত্ত। একদিন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল এবং মন্দিরে কেউ ছিল না। সেই সময় দ্বিতীয় ব্যক্তি মন্দিরে গিয়ে সমস্ত টাকা-পয়সা চুরি করে পালায়। কিছুক্ষণ পরে ভালো মানুষটি মন্দিরে পুজো করতে গেলে দ্বিতীয় ব্যক্তিও সেখানে যায় এবং প্রথমজনের ঘাড়ে চুরির দায় চাপায়। সবাই তখন অকারণে ভালো মানুষটিকে প্রচুর অপমান করে। মনের দুঃখে মন্দির থেকে বাইরে বেরোতেই একটা গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। তিনি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।


এদিকে চুরির সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে মনের আনন্দে দিন কাটায় অসাধু ব্যক্তি। কয়েক বছর পরে দুজনেরই মৃত্যু হয় এবং তাঁরা দুজনেই যমরাজের কাছে যান। সত্‍ পথে থেকেও কেন তাঁকে সারা জীবন কষ্টে থাকতে হয়েছে, তা জানতে চান প্রথম ব্যক্তি। যমরাজ তাঁকে বলেন যেদিন তাঁর দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেদিনই তাঁর মনে যাওয়ার কথা ছিল। তাঁর ভালো কাজের জন্যই তাঁর আয়ু বাড়িয়ে দেন ভগবান। অন্যদিকে অসাধু ব্যক্তি রাজার মতো থাকতে পারত, কিন্তু তার খারাপ কাজের কারণেই সামান্য কিথু অর্থ নিয়েই তাকে খুশি থাকতে হয়।


শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন যে ঈশ্বরের আশীর্বাদ কোন রূপ ধরে আমাদের ওপর বর্ষিত হবে, তা অনেক সময়ই বোঝা যায় না। কিন্তু খারাপ ও ভালো কাজের ফল জীবনে অবশ্যই পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

Comments

Popular posts from this blog

হারানো এক জয় সেবাস্টিয়ান আর কলকাতার গপ্পো ❤️

জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ১৭২ বছর

৩ মাস ধরে জ্বলেছিল এই পৃথিবী সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯তলা গ্রন্থাগার!